আজ একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবসটি সামনে রেখে গতকাল রবিবার প্রদান করা হয় একুশে পদক।রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিশিষ্টজনদের হাতে পদক তুলে দেন আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ৩ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক ২০২২’ প্রদানের জন্য ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করে।
এ বছর ভাষা আন্দোলন বিভাগে দুজন, মুক্তিযুদ্ধে চারজন, শিল্পকলা (শিল্প, সংগীত ও নৃত্য) বিভাগে সাতজন, সমাজসেবা বিভাগে দুজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, গবেষণায় চারজন এবং সাংবাদিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিক্ষায় একজন করে পুরস্কার পেয়েছেন।
যারা একুশে পদক পেয়েছেন
ভাষা আন্দোলনে মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর) এবং মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর)।
মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।
নাচে জিনাত বরকতউল্লাহ।
সংগীতে নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান বেনু।
অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ।
সাংবাদিকতায় এম এ মালেক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন।
শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. গৌতম বুদ্ধ দাস।
সমাজসেবায় এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ ডা. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো।
ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্না দাস পুরকায়স্থ।
গবেষণায় ডা. মো. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, ডা. মো. এনামুল হক, ডা. শাহানাজ সুলতানা এবং ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একুশে পদক দেয়া শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর প্রবর্তন করেন।
সর্ব প্রথম এই সম্মাননা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। একই বছর কবি জসীম উদ্দিন এবং বেগম সুফিয়া কামাল এই সম্মাননা পেয়েছিলেন। সে বছর শুধুমাত্র সাহিত্য, শিক্ষা এবং সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননা দেয়া হয়েছিল।
বর্তমানে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিল্পকলা, শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ মোট ১২ টি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননা দেয়া হয়।