প্রতি বছর ই ইউ'র বাইরে থেকে প্রায় চার লাখ যোগ্য কর্মীকে জার্মানিতে নিয়ে আসতে চায় নতুন জোট সরকার৷ জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা এবং কর্মীর অভাব পূরণ করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে৷ করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলিতে নিয়োগের কথা ভাবছে জার্মানির নতুন জোট সরকার৷
German job market |
দক্ষ কর্মীর অভাব এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে জার্মান অর্থনীতিতে তার ভালোরকম প্রভাব পড়ছে৷ আধুনিক অভিবাসন নীতির মাধ্যমে দক্ষ কর্মীর অভাবকে পূরণ করতে হবে৷ যত দ্রুত সম্ভব দেশের বাইরে থেকে চার লাখ দক্ষ কর্মী আনার লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে আমাদের৷
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলত্স-এর এসপিডি দল সবুজ ও এফডিপি দলের সঙ্গে জোট গড়তে যে চুক্তি করেছে তাতে জাতীয় ন্যূনতম বেতন প্রতি ঘণ্টায় ১২ ইউরো (১,১৭২ বাংলাদেশি টাকা) করার কথা বলা হয়েছে৷ এছাড়া পয়েন্ট সিস্টেম চালু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে দক্ষ কর্মী আনার কথাও বলা হয়েছে৷
জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের অনুমান
চলতি বছরে জার্মানিতে শ্রমশক্তি কমবে আরও তিন লাখ৷ যত সংখ্যক তরুণ কাজে যোগ দিচ্ছেন, তুলনায় অনেক বেশি প্রবীণ কর্মী অবসর নিচ্ছেন৷ ফলে ২০২৯ সালে এই ফারাকটা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ছয় লাখ ৫০ হাজারে৷ ২০৩০ সালে প্রায় ৫০ লাখের মতো কর্মক্ষম বয়সের লোকেদের ঘাটতি রয়ে যাবে৷ মহামারি সত্ত্বেও ২০২১ সালে জার্মানিতে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ কর্মরত ছিল৷
করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব তথা জার্মানির অর্থনীতিকে উপর্যুপরি ঢেউ সামলাতে হচ্ছে৷ অর্থনীতি সামাল দিতে নতুন পরিকল্পনা হিসাবে বিদেশি কর্মী আনার এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জার্মান সরকার।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব তথা জার্মানির অর্থনীতিকে উপর্যুপরি ঢেউ সামলাতে হচ্ছে৷ অর্থনীতি সামাল দিতে নতুন পরিকল্পনা হিসাবে বিদেশি কর্মী আনার এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জার্মান সরকার।