কক্সবাজারের আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত; বেকসুর খালাস দিয়েছেন ৮জনকে।
সোমবার বেলা ২টা ১৬ মিনিটে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের দেয়া এ রায়ে কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এপিবিএনের কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, মারিশবুনিয়া গ্রামের নেজাম উদ্দিন, নুরুল আমিন ও মো. আইয়াজ। একই সঙ্গে এই ছয়জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়।
মামলার অন্য ৮ আসামি বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের এএসআই মো. লিটন মিয়া, টেকনাফ থানার কনস্টেবল ছাফানুল করিম, মো. কামাল হোসাইন আজাদ, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (APBN) তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান আলী, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন বেকসুর খালাস পান। রায়ের মন্তব্যে বিচারক এই হত্যাকাণ্ডকে 'পূর্ব পরিকল্পিত' বলে উল্লেখ করেছেন।
টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের তল্লাশি চৌকিতে অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা পুলিশের গুলিতে নিহত হন ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয় এই হত্যা মামলায়।
হত্যা মামলা করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।তবে এই ঘটনায় প্রথমে পুলিশ টেকনাফ থানায় দু'টি এবং রামু থানায় একটি সরকারি কাজে বাধা দেয়া এবং মাদক আইনে মামলা করেছিল। পুলিশের সেই মামলাগুলোতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম এবং শিপ্রা দেবনাথকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পরে আদালত পুলিশের করা মামলাগুলো থেকে অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিয়েছিল।