বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ই ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন কল্পে একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। শনিবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে:
এই সার্চ কমিটি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২' মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে। তাদের এই কাজে সার্বিক সহায়তা করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নতুন আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটির প্রধান দুজন সদস্য হবেন হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি, যাদেরকে প্রধান বিচারপতি মনোনয়ন দেবেন। এছাড়া সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসি এবং মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক পদাধিকার বলে থাকবেন। আর বাকি দুজন সদস্য হবে রাষ্ট্রপতির মনোনীত, যাদের একজন নারী এবং একজন পুরুষ হবেন।
এই সার্চ কমিটির ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে আইনে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারের প্রতিটি পদের জন্য দুই জন করে মোট ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে এই কমিটি। তাদের মধ্য থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
সার্চ কমিটির সদস্য হয়েছেন যারা
নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ মোতাবেক প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সার্চ কমিটির দুইজন সদস্য হলেন আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান। পদাধিকার বলে নিযুক্ত দুইজন সদস্য হলেন মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত দুইজন হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
এর আগেও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলেও সর্বশেষ একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো।
এবারই প্রথম আইনের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করা হবে এই সার্চ কমিটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এর আগের রকিব এবং হুদা কমিশন দলীয় আনুগত্যশীল হিসাবে পরিচিত পেয়েছেন। এবার দেখার বিষয় নতুন কমিশনে কারা আসছেন এবং কতটা দলীয় আনুগত্যের বাহিরে থেকে কাজ করেন।