বিজয় দাস; নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
"স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর"!!!
এই সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ট্যাগ লাগিয়েই তামাক জাত পন্য বাজারে ছাড়ছে উৎপাদনকারীরা। ক্ষতির বিষয় জেনেও তামাক সেবন করছে কোটি কোটি মানুষ। তাহলে কাঁচামাল উৎপাদনকারীরা বসে থাকবে কেন?
অধিক ফলন, চাহিদা বেশি তাই বাজারে দামও বেশি হওয়ায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চাষিরাও বাড়িয়ে দিয়েছে এই ক্ষতিকর তামাক চাষ। চাষীরা তামাকের মারাত্মক ক্ষতি সম্পর্কে অসচেতন হলেও এটা যে স্বাস্থের জন্য ভালো কিছু নয় এই ডিজিটাল যুগে তা জানার কথা। কিন্তু বেশি লাভের জন্য স্বাস্থ্য-ঝুঁকি নিয়েই তামাক চাষে মনোযোগী হয়ে উঠছেন তারা।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং, দুল্লী, বৈরাটী, ছিলিমপুরসহ বেশ কয়টি এলাকার চাষীরা তামাক চাষ করেন। এই ক্ষতিকর তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত বদরুল ইসলাম বলেন:
আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা তামাক চাষ করে আসছি। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানান:
আমরা বিভিন্ন সময় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় চাষীদের বোঝাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি।এব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ডা: রঞ্জন কর্মকার তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বলেন:
এটি শিশু, বৃদ্ধসহ মানবদেহের জন্য মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। তামাক সেবনে বুকসহ মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট হয়ে যায় , নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি ও হতে পারে।
নেত্রকোনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এফ এম মোবারক আলী বলেন:
নেত্রকোনা জেলায় তামাক চাষ হচ্ছে এটা আমি প্রথম শুনলাম। অতি শিগগিরই এই ক্ষতিকর তামাক চাষ বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং ওই এলাকার কৃষকরা যাতে তামাকের বিকল্প ফসল উৎপাদনে মনোযোগী হয় সে জন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে।
তবে তামাক চাষ বন্ধে সরকারিভাবে কোন বিধি নিষেধ নেই। আর সেই সুযোগে সুবিধাভোগী কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের দেয়া লোভনীয় প্রলোভন ও আর্থিক সহযোগিতায় ক্ষতিকারক এই চাষ করছেন কৃষকরা। তাই চাষিদের নিরুৎসাহিত করতে স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।