একটি অনলাইন পরীক্ষার সময় নকল করার সন্দেহে দুই মুসলিম শিক্ষার্থীর স্কার্ফ খুলে ফেলতে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে
Muslim girls students in Germany |
পড়ে জার্মানির মিউনিখ শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এইচএম হকসচুলে মিউনচেন নামের ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক টুইটে জানায়, অনলাইন পরীক্ষার সময় জালিয়াতির সন্দেহে মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। যা জার্মানির সংবিধান মোতাবেক আইন সিদ্ধ হয়নি। এর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
"ধর্মীয় পোশাককে সাধারণ ফ্যাশনের সাথে তুলনা করা যায় না এবং সেগুলোকে আলাদাভাবে পরিচালনা করতে হবে", এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ । এছাড়া তারা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতার সম্মান নিশ্চিত করতে পরীক্ষার সুপারভাইজারদের নির্দেশাগুলোতে পরিবর্তন আনবে বলে জানিয়েছে।
বৈষম্যের শিকার এক শিক্ষার্থী তাদের সমর্থন দেয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি এই ঘটনায় বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করেন।
তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় সমান আচরণ নিশ্চিত না করা এবং বৈষম্যমূলক অনুশীলনের অবসান না করা পর্যন্ত মুসলিম শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।
৮৩ মিলিয়ন মানুষের দেশে জার্মানিতে মুসলমানের সংখ্যা ৫.৩ মিলিয়ন। সংখ্যার হিসেবে ফ্রান্সের পরে পশ্চিম ইউরোপে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে জার্মানিতেই।
উল্লেখ্য, জার্মানির সংবিধান ধর্মের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিলেও মুসলিমরা, বিশেষ করে মাথার স্কার্ফ পরা নারীরা প্রায়ই শিক্ষা ও কর্মস্থলে বৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখীন হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে বর্ণবাদ ও ইসলামোফোবিয়া বাড়ছে।