সোমবার ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) সব আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংগঠনগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছিল, রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং দলগুলিকে যেখানে যত দূর সম্ভব যেন বহিষ্কার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা এবং উয়েফা। এর ফলে এই বছর কাতার বিশ্বকাপে খেলা হবে না রাশিয়ার।
খেলা হবে না ইউরোপীয় ফুটবলেও।ইউরোপা লিগে রাশিয়ার ক্লাবগুলি আর খেলতে পারবে না। রাশিয়ার মহিলা ফুটবল দলও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।
BBCN বিশেষ সংবাদ
ফিফা এবং উয়েফা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ রাশিয়ার কোনও জাতীয় এবং ক্লাব দল ফিফা ও উয়েফার কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। পরবর্তী বি়জ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে আক্রান্তদের পাশে রয়েছে ফুটবল। গোটা বিশ্বের ফুটবল এ ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ আছে। দুই সংস্থার প্রেসিডেন্টই আশাবাদী দ্রুত ইউক্রেনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, যাতে ফুটবল আবার শুরু হয়, ফুটবলের মাধ্যমে শান্তি এবং ঐক্য ফিরে আসে।’
রাশিয়ার সাথে খেলতে অস্বীকৃতি ইউরোপীয় দেশগুলির
ইংল্যান্ডের এই ঘোষণার আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে না খেলার কথা জানিয়েছিল পোলান্ড, সুইডেন এবং চেক প্রজাতন্ত্র। ফিফা কী ভাবে রাশিয়াকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলার অনুমতি দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পোলান্ডের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সভাপতি। ফুটবল থেকে রাশিয়াকে নির্বাসিত করার দাবিও করেছিল পোলান্ড।পোলান্ড খেলতে অস্বীকার করার পর চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইডেনও জানিয়ে দিয়েছিল, ফিফার নির্দেশ মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই তিন দেশই এক সঙ্গে ফিফাকে অনুরোধ করেছিল, রাশিয়াকে প্রতিযোগিতা থেকেই বহিষ্কার করার জন্য।
পোলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেজারি কুলেজা ফিফার সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘‘ফিফার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে আগ্রহী নই। নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। রাশিয়া যে নামেই মাঠে নামুক আমরা খেলব না।’’